By Gazi Tousif Saif
স্যার আইজ্যাক নিউটন --
দীর্ঘ গবেষণা, গভীর চিন্তণ।
আপোষহীন শ্রম সাধন, পরীক্ষণ নিরীক্ষণ
আর সত্যের শাশ্বত দর্শণ।
তৃনাবৃত আপেলের ত্বকে খসে পড়ল
একটা লাল পৃথিবী।
তারপর আইজ্যাকের দৃষ্টি থেকে নিউরোন থেকে চেতনা থেকে পান্ডুলিপি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাসা-ইসরো থেকে চাঁদ।
তারপর চাঁদ ঘুরে আসে মঙ্গলে
মঙ্গল যায় বৃহস্পতি
বৃহস্পতি যায় ইউরেনাস।
তারপর সবাই মিলে বেড়াতে যায় সূর্যের কাছে।
একদিন আলোকতত্ত্বের স্তূপ পুড়িয়ে ফেলল
তাঁর পোষ্য ডায়মন্ড।
ভষ্মীভূত হল মস্তিষ্কের সুদীর্ঘ পরিশ্রম।
ছাই হয়ে গেলেন নিউটন-
তাঁর হৃদয় সত্ত্বা পুড়ে ছাই।
খ্যাতি আর যশের পালকগুলো ময়ূরের পেখম থেকে মুক্তি বেগ নিয়ে নিমেষেই হারিয়ে গেল মহাশূন্যে।
কয়েক ধাপ পিছিয়ে পড়ল সভ্যতা ৷
বিজ্ঞানী আতঙ্কিত পোষ্যের গায়ে ক্ষমা মাখা স্নেহের পরশ বুলিয়ে অভয় দিয়ে মৃদু স্বরে -
"তুমি যে বিশাল ক্ষতি করেছ তা যদি তুমি বুঝতে " !
এখনও বহুলোকে হা হুতাশ করে -
'বদমাশ জানোযারটা যদি মারাত্মক ভুলটা না করতো
বিজ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হতো, প্রযুক্তি হতো উন্নততর ৷'
কিন্তু সে তত্ত্বের পরিবর্তে নিউটন দেখিয়ে গেলেন মহানতর কিংবা তাঁর মহানতম তত্ত্বের ব্যবহারিক প্রয়োগ৷
ডায়মন্ডের ভুল না হলে সভ্যতা অনেক এগোতো ৷ অত্যাধুনিক অস্ত্রের ভারে তরান্বিত হতো প্রলয়কাল ৷
বিজ্ঞান প্রযুক্তি সময়ের স্রোতে ফুলেছে ফেঁপেছে ৷
শান্তির দোহাই টেনে বিস্ফোরণ , যুদ্ধ, আর ধংসলীলা ৷
সমাধানের অজুহাতে রকেট হামলা ৷
ধ্বংস স্তূপের শহরে ছড়িয়ে থাকে রক্তাক্ত বহু ফুল
আর তাদের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন নিষ্পাপ আঙুল।
আমি এ সভ্যতাকে অসভ্যতা বলি।
এ অসভ্যতা আপন করেছে পরমাণু বোমা।
নিউটনের উদার তত্ত্বকে লালন করেনি।
তাহলে যুদ্ধবিমান থাকতো না।
অভিবাসী জাহাজডুবি? ---
প্রসঙ্গই আসতো না।
নিউটনের বাকি তত্ত্বগুলো আলোকবর্ষ
অতিক্রম করেছে।
অথচ তাঁর ক্ষমা, ভালোবাসা আর শান্তিপূর্ণ
সহাবস্থানের তত্ত্ব বইয়ের পাতায় উইপোকা আজও
কুরে কুরে খায়।
নিউটন কুকুরকে অনুগ্রহ করেছেন।
আর এখন মানুষ মানুষকে ইউক্রেন আর ফিলিস্তিন বানায়।
By Gazi Tousif Saif
Comments